প্রকাশিত: Tue, Dec 19, 2023 12:42 AM
আপডেট: Sat, Jun 28, 2025 5:57 AM

[১]এবার নির্বাচনের অর্ধেক সংখ্যক আসনও ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ’ হচ্ছে না! [২]১০১ আসনে নৌকার ‘জয়ে বাধা’ স্বতন্ত্র !

আজাহার আলি সরকার: [৩] নানা কৌশলের পরও এবার নির্বাচনের অর্ধেক সংখ্যক আসনও ‘প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ’ করা যাচ্ছে না ! [৪] এবার  জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৭টি নিবন্ধিত দল অংশ নিলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ! অন্তত ১১ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর জয়ের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন এই স্বতন্ত্ররাই !

[৫] বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট এ নির্বাচন বর্জন করছে। এই জোটের বাইরেও কট্টর ডানপন্থি ও কট্টর বামপন্থি হিসেবে পরিচিত একাধিক রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জন করছে। ফলে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে শঙ্কিত ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাঠে ধরে রাখছে তারা। 

[৬] অবশ্য নির্বাচন কমিশনের (ইসি) হিসাবে ৪৪ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৭টি দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে ভোটের মাঠের চিত্র ভিন্ন। কারণ আওয়ামী লীগ ও সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জাপা) ইতোমধ্যে আসন বণ্টন করেছে। 

[৭] এ ছাড়া আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলের মধ্যেও আসন সমঝোতা হয়ে গেছে। ফলে ভোটের মাঠে যতটুকু প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার সম্ভাবনা, তার সবটুকুই আওয়ামী লীগের স্থানীয় পদধারী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ঘিরে। 

[৮] এবারের নির্বাচনে ‘কিংস পার্টি’খ্যাত তৃণমূল বিএনপি, বিএনএম এবং বিএসপি অনেক আসনে প্রার্থী দিলেও মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এখনও কেউ আসতে পারেনি। প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পরে হাতেগোনা দু-একটি আসন ছাড়া তাদের কেউ আলোচনায় নেই।   

[৯] ইসির হিসাবে ২৮ রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলে ৩০০ আসনে ২ হাজার ৭১৬টি মনোনয়নপত্র জমা পড়ে। এর মধ্যে বাছাইয়ে বাদ পড়ে ৭৩১টি। মনোনয়নপত্র বাছাই শেষে মোট বৈধ প্রার্থী ছিলেন ১ হাজার ৯৮৫ জন। আপিল নিষ্পত্তি শেষে সব মিলিয়ে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ২ হাজার ২৬০-এ।  

[১০] রোববার  সারাদেশে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন ৩৪৭ জন। এখন মোট বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ৮৯৬। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৯৮ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিল। এর মধ্যে বাছাই ও আপিল শেষে পাঁচটি আসন প্রার্থীশূন্য হয়ে পড়ে দলটির। 

[১১] জাতীয় পার্টির সঙ্গে সমঝোতায় ২৫টি আসনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা হয়। অন্যদিকে ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের ৬টি আসনে নৌকা প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ায় এসব আসনেও আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী থাকছে না। 

[১২] সব মিলিয়ে এখন আওয়ামী লীগ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে ২৬৩ আসনে। তবে শরিকদের নিয়ে নৌকা থাকছে ২৬৯ আসনে। অন্যদিকে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা ২৮৩ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করলেও রোববার অনেক আসন থেকেই প্রার্থিতা প্রত্যাহারের খবর পাওয়া গেছে। তবে কতটি আসনে তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার হয়েছে, তা জানাতে পারেনি দলটি।  অবশ্য ইসির আপিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ বেশ কয়েকজন প্রার্থী উচ্চ আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে !